জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার প্রধান বলেছেন, তার সংস্থা বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। জাপান সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে হোটেল নিউ অটানিতে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেছেন জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা।

জাপান সফরে ওই হোটেলেই থাকছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জাইকা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান জাইকার প্রেসিডেন্ট।

জাইকা আগামীতে আরও ঘনিষ্টভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় বলে সংস্থাটির প্রধান জানিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামীতে আরও সম্মৃদ্ধ ও সুখী দেশ হবে।নজরুল ইসলাম, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে জাইকার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে।

জাপান এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭২ সাল থেকে দেশটির কাছ থেকে বাংলাদেশ মোট এক হাজার ১৩০ কোটি ডলারের সহায়তা পেয়েছে।বুধবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে আড়াইশ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই জাপানের সহায়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানিদের জন্য গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে উল্লেখযোগ্য উল্লেখ করে জাইকা প্রধান শিনিচি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে শিক্ষামূলক কর্মসূচি আরও জোরদার করবে জাইকা। বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য জাইকা কর্মসূচি নিয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে জাইকার প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন।

জাপানের মতই কৃষি অর্থনীতি থেকে শিল্পনির্ভর অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে রূপান্তর করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুও চেয়েছিলেন জাপানকে মডেল হিসেবে ধরে উন্নয়ন করা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়াতে উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত সব ধরনের দেশই আছে। আমরা যদি সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে বিশ্বে এশিয়া ডমিনেট করবে। সেই সম্ভাবনা আছে।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন।