বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার (ওডিএ) আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের ২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
বুধবার টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই চুক্তি হয়।বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি ও ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ চুক্তিতে সই করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপান যাওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন,বাংলাদেশে যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত এবং শিল্পায়নের জন্য জাপান এ সহায়তা দিচ্ছে ।৪০তম এই প্যাকেজ আগের বারের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি।জাপানী এই অর্থে মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১), বিদেশি বিনিয়োগ সহায়ক প্রকল্প (২), জ্বালানি দক্ষতা ও সুরক্ষা সহায়ক প্রকল্প (পর্যায়-২) ও মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে (৫) অর্থায়ন করা হবে।
চুক্তির পর দুই নেতা যৌথ বিবৃতি দেন।চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতার আগে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা ও শিনজো আবে।
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু জাপানে চারদিনের সফরে মঙ্গলবার রাজধানী টোকিও এসেছেন শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকাল পৌঁনে ছয়টার দিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান শিনজো আবে। এসময় সুসজ্জিত একটি দল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়।এরপর দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠক শুরু হয়। দুই দেশের নীতিনির্ধারক ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক প্রমুখ।
জাপান এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী।১৯৭২ সাল থেকে দেশটির কাছ থেকে বাংলাদেশ মোট এক হাজার ১৩০ কোটি ডলারের সহায়তা পেয়েছে।চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনার এটাই প্রথম জাপান সফর।
বৃহস্পতিবার বুধবার দ্য ফিউচার অব এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ সম্মেলনে তিনি এশিয়ার সম্ভাবনা ও উত্থান নিয়ে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরবেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও তাত্ত্বিকদের সামনে।