বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) “বাংলাদেশের উৎপাদনশীলতা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রপ্তানীযোগ্য উৎপাদন প্যাকেজ ও প্রক্রিয়াজাতকৃত আলুর উন্নয়ন” শীর্ষক ইনসেপশন কর্মশালা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় ৩৭ লাখ মেট্রিক টন বেশি আলু উৎপাদিত হচ্ছে। এই উদ্বৃত্ত আলুর সঠিক ব্যবহার একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই আলুর বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যেন এসব আলু রপ্তনী করতে পারি সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আলুর রোগ-বালাইয়ের জন্য আমাদের আলু রপ্তানী বন্ধ রয়েছে। তাই আমাদের রোগ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করতে হবে। আমি আশা করি এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা রপ্তানীযোগ্য আলুর জাত উন্নয়ন করতে পারবো।
বারি’র কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. এ কে এম শামছুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী, বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল ওহাব, পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মদন গোপাল সাহা, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) জেবুন নেছা ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. বাবু লাল নাগ। এতে স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও সহযোগী কো-অর্ডিনেটর ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী বলেন, আলুকে একটি শিল্পবান্ধব শস্যে রূপান্তরিত করতে হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার উৎপাদন সম্ভব। আমাদের উদ্বৃত্ত আলুর সঠিত ব্যবহার ও রপ্তানীর প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানীর প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।