রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব এক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে, যারা সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, কারারক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মানিক চাঁদ ওরফে রাজ (২৮), এসএম আলাউদ্দিন আল মাসুদ (৩৬), মো. ইসমাইল হোসেন (৩১), মো. রতন হোসেন (১৮), মো. শরিফুল ইসলাম ( ৩২) ও সম্রাট মল্লিক (২৪)।
রোববার রাতে মিরপুর ও খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৪ অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান। সোমবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওই চক্র এ পর্যন্ত ২৫ থেকে ২৬ জনের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তথ্য পেয়েছেন তারা।
এদের দলনেতা মানিক চাঁদ। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়েছে। কিন্তু নিজেকে সে ম্যাজিস্টেট বলে পরিচয় দিত। রূপনগরে তার সুসজ্জিত একটি অফিস ছিল। সেখানে বসে সে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিত।
এ চক্রটি দুই থেকে আড়াই বছর ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা মঞ্জুরুল বলেন, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার বেকার চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত তারা। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, কিংবা পেট্রোবাংলা, জিটিসিএল, পিডিবিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক নিন্ম পদে চাকরির প্রলোভন দেখানো হত তাদের। এভাবে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হত টাকা
রাশেদুল ইসলাম লিটন নামে সিরাজগঞ্জের এক ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে।তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন নিজেকে এসআই হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল তার কাছে। তার ভাতিজাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিল।কিন্তু চাকরি না দিয়ে উল্টো আমার নামে তিনটি মামলা করে সে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, আমি নাকি বিদেশ লোক পাঠানোর কথা বলে ইসমাইল ও রতনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছি।
পাবনার আবু সাইদও ওই চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার বর্ণনা দেন সংবাদ সম্মেলনে।