সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলসীমায় কয়েকটি তেলের ট্যাংকারে হামলা উদ্বেগজনক বলে সোমবার মন্তব্য করেছে ইরান। সৌদি আরব ও আমিরাত বলছে অন্তর্ঘাতের ফলে আমিরাতের সমুদ্র উপকূলে কয়েকটি তেলের ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ‘ওমান সমুদ্রের সাম্প্রতিক ঘটনা উদ্বেগজনক ও দুঃখজনক,’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ইংরেজি ভাষায় দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে, ওই অঞ্চলের সমুদ্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে ‘দুঃসাহসিক অভিযানে’ না নামতে বিদেশি শক্তিগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে ইরান। রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে বিভিন্ন দেশের চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার ভোরে সৌদি আরব জানায়, তাদের দুটি তেলের ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফুজাইরাহ হচ্ছে আমিরাতের একমাত্র টার্মিনাল যেটা আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত। এর পাশেই অবস্থিত হরমুজ প্রণালী দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ তেল রপ্তানি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে এই জলপথ বন্ধ করে দেয়া হবে বলে আগে কয়েক বার হুমকি দিয়েছিল ইরান।
ফুইজাইরায় এই বিস্ফোরণ এমন সময়ে ঘটল যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ওই অঞ্চলে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে একটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠানো ছাড়াও কয়েকটি বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে তেহরানের কথিত হুমকির জবাবে।
মুসাভি রোববারের ‘হামলার সঠিক পরিধি পরিষ্কার করে জানানো’র আহ্বান জানিয়েছেন, বলা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। তিনি বলেন, এমন ঘটনা উপসাগরে জাহাজ চলাচল এবং সমুদ্রের নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
‘ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন’ মুসাভি। তিনি ‘আঞ্চলিক দেশগুলোকে বিদেশি শক্তির দুঃসাহসিক অভিযানের বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন,’ জানানো হয় বিবৃতিতে।