ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৬৫ জন মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি সিলেটে এবং একজনের বাড়ি মৌলভীবাজারে বলে জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসীর একটি দল নৌকা করে ইতালির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকা থেকে ছোট নৌকায় তোলা হয়। সেই সময় ঘটে দুর্ঘটনাটি। রাবারের তৈরি নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়৷

তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে গতকাল শনিবার সকালে তীরে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে একজন অভিবাসী অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে জানান, মাঝ সমুদ্রে ঠাণ্ডা পানিতে তারা আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনই বাংলাদেশি।  এ ঘটনায় জীবিত অভিবাসীদের ভাষ্যমতে, নৌকাটিতে বাংলাদেশি ছাড়াও মিশরীয় এবং মরক্কো, শাদ এবং আফ্রিকার অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুয়ারা থেকে ইতালির পথে অভিবাসীদের নৌকাটি রওনা হয়। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার বেশি শরণার্থীবাহী নৌকাটি শক্তিশালী ঢেউয়ের কবলে পড়ে তিউনিশিয়া উপকূলেই ডুবে যায়। নৌকার আরোহীদের অধিকাংশই আফ্রিকার সাহার অঞ্চলের অধিবাসী। ঘটনার সময় তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জীবিতদের উদ্ধার করে।