গাজীপরে পৃথক অগ্নিকান্ডে একটি পোশাক কারখানা, ৩২টি বাড়ি ও ১৬টি দোকানসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, সোমবার ভোর রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া এলাকার গরীব অ্যান্ড গরীব পোশাক কারখানার ৬তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রাপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর স্টেশনের তিনটি, টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের দুইটি এবং শ্রীপুরের মাওনা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ওই কারখানার দ্বিতীয় তলায় থাকা মালামাল পুড়ে গেছে ।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, প্রায় একই সময়ে বজ্রপাতে চান্দনা এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ির গ্যাসের রাইজার থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ওই বাড়িসহ তিনটি দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। এছাড়াও গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর বাজারের মালাকার মার্কেটে রবিবার রাতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে অগ্নিকান্ড হয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটের কর্মীা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ওই মার্কেটের ৭টি দোকান ও দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল জানান, রবিবার রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার হাজী রোকনের বাড়িতে মোমবাতি জ্বালানোর সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন ওই বাড়িসহ পাশর্^বর্তী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে আসবাবপত্র ও মালামালসহ রোকনের বাড়ির ২০টি ও জাহাঙ্গীরের বাড়ির ১১টি ঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দু’টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।
এদিকে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. কবিরুল আলম জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় সোমবার ভোরে বজ্রপাতে লেপ-তোষকের দোকানসহ ছয়টি দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।