অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ধারাবাহিকভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থার জায়গা এখন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী অর্থনীতির দেশ।
রোববার অর্থমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর বব সাউমসহ বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে, এখন আমরা ঋণ প্রদানকারীর সাথে দরকষাকষি করে তাদের শর্তপূরণ করার সক্ষমতা রাখি। তাই বিশ্বব্যাংকসহ সবাই ঋণ দিতে আগ্রহী।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের যে টিম আছে তাঁরা বাংলাদেশের চাহিদা বোঝেন। সামনে বাংলাদেশের সকল ধরণের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সহায়তা আরো বাড়বে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের ভালো সময় যাচ্ছে। তবে মাঝে কিছুদিন এই সংস্থার সঙ্গে খারাপ সময় পার করেছিলাম। এই অবস্থা এখন আর নেই। বর্তমানে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের ভালো টিম রয়েছে। আশা করি প্রকল্পের ঋণ সহায়তাসহ সকল ধরনের সহায়তা বাড়াবে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর বব সাউম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নারীদের কর্মস্থান ও নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন এবং আগামীতে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা আগামী ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বসন্তকালীন সভা নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় বাংলাদেশের বিনোয়োগের খাত, জনশক্তির সম্ভাবনা, জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব ও রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়গুলো তুলে ধরার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নানা বাধা-বিঘ্ন সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগুচ্ছে তা প্রশংসাযোগ্য। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমরা ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার। আমরা এটা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ অবকাঠামো খাতে যেভাবে এগুচ্ছে তা অচিরেই শিল্প বিনিয়োগকে আরো বেশি আকর্ষণ করবে।