এখন থেকে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, কেউ গাফিলতি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি কাঁচা বাজার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এক সময় গরিব ছিলাম। অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বেশিরভাগ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এখন সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় আনার জন্য কোনও ছাড় নেই। এই মার্কেটে এর আগেও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। মার্কেটটার সম্পর্কে দেশবাসী জানেন। এখানে মার্কেট হওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থাপনা থাকার দরকার তার মধ্যে যথেষ্ট গাফিলতি আছে। এর আগে এই মার্কেটটি ভেঙে নতুন মার্কেট তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে এই কাজটিকে মন্থর করে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, এই ক্ষতির পরে সবার বোধোদয় হবে ও সরকারকে সহযোগিতা করবে।এসময় সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাসও দেন মন্ত্রী।

সিটি করপোরেশনের মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি অস্থায়ী মার্কেট। পূর্ণাঙ্গ মার্কেটে রূপান্তরিত করার জন্য সিটি করপোরেশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। অস্থায়ী মার্কেটে তারা (ব্যবসায়ীরা) নিশ্চয়ই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রেখেছে। হয়তো সেটা পর্যাপ্ত ছিল না।

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা জানেন একটির পর একটি ঘটনা ঘটছে। আগে কী ঘটেছে ওটা না, এখন কী করবো সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এখন সময় এসেছে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার। এখানে প্রায় ২৯১টি দোকান আছে। ফায়ার এক্সিট, ফায়ার হাইড্রেন্ট, ফায়ার আইল এগুলোর ব্যবস্থা করলে দোকানের সংখ্যা কমে যাবে। এখন দোকান মালিকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কারা দোকান রাখবেন কারা রাখবেন না। আমরা চাই সুন্দর একটা প্ল্যান করে কিছু করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন কাওরান বাজার মার্কেটটিও অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। আমরা শিগগিরই জানাবো কোন কোন মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। যেসব মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো দোকান মালিক, মার্কেট ব্যবসায়ী সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। আমাকে মার্কেটগুলোর পরিবর্তন আনতেই হবে।এসময় তিনি আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে জানানো হবে বলে জানান।