রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত মাকসুদুর রহমান (৩৫)। জানা যায়, ভবনটিতে আগুন লাগার পর বাঁচার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন মাকসুদুর। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক নারীর পরিচয় মিলেছে। নাম রুমকি আকতার (৩০)। রুমকি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দিলকুঁড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে।

মাকসুদুরের খালতো ভাই ইমতিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, তারা পুরান ঢাকার বাসিন্দা। পরিবারের একমাত্র ছেলে মাকসুদুর। বাবা মারা গেছেন ছোট বেলায়। স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে চাকরি করতেন। সম্প্রতি মাকে নিয়ে নতুন কেনা ফ্ল্যাটে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু এখন সবই শেষ!

এদিকে টাওয়ারের ভেতরে অসংখ্য লোকজন আটকে পড়ে আছেন। উদ্ধারে কাজ করছেন বিমান-নৌ বাহিনীর সদস্যরাও। ব্যবহৃত হচ্ছে হেলিকপ্টার। এছাড়া আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বামী মাকসুদুর রহমান বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরই প্রাণে বাঁচতে ভবন থেকে লাফ দেন। এরপর সেখানেই তার মৃত্যু হয়। রুমকি ও মাকসুদুরের বিয়ে হয় তিন বছর আগে। তারা ওই ভবনের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ফরিদাবাদ এলাকায় তারা বসবাস করতেন।
রাতে মাকসুদের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ রুমকি’র মরদেহ সনাক্ত করেন। তিনি বলেন, তার স্বামীও মারা গেছেন। তার মরদেহ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।