পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির আট উপজেলায় মোট ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৫৪ জন ভোটারের জন্য ১৭৫ কেন্দ্রের ৯৯০টি ভোট কক্ষে সোমবার সকাল ৮টা থেকে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
কিন্তু দুই একজন ভোরের উপস্থিতি ছাড়া অনেকটা ভোটার বিহীন পাহাড়ি জনপদের কেন্দ্র গুলোতে বেলা গড়িয়ে দুপুর না হতেই মহালছড়ি ও দীঘিনালায় কেন্দ্র দখল এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীসহ আট প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষনা দেয়।
সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে মহালছড়ির উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিমল কান্তি চাকমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে একই দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী কাকলী খীসা, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্যজাই মারমা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম হুমায়ুন কবীর এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভুমিকা ত্রিপুরা ও শেফালী আক্তার ভোট বর্জন করেন।
অপরদিকে, সোমবার দুপুরের দিকে দীঘিনালা উপজেলায় নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস এমএন লারমা) সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রফুল্ল কুমার চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সমানন্দ চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোপা দেবী “জেএসএস এমএন লারমা” সমর্থিত এই তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।
এছাড়াও, জেলার সীমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলায় দুই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে পানছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইল্টফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লোগাং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। এবিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলার রিটারনিং অফিসার কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী জানান, পানছড়িতে স্থগিত হওয়া কেন্দ্র গুলির দায়ত্বে থাকা ফিজায়ডিং অফিসারদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাওয়ায় তিনটি কেন্দ্র স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। আর মহালছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলায় ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে স্ব স্ব উপজেলার নির্বাচনে দায়ত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানানো হবে।