আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বস ধরনের বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন ১৫ দিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি আদেশও জারি করেছে। প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
আদেশে বলা হয়েছে- নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী সাতদিন থেকে ভোটগ্রহণের পরবর্তী সাতদিন পর্যন্ত সব ধরনের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, প্রতিটি ধাপেই ১৫ দিনের জন্য এই আদেশ বলবৎ থাকবে। আর অবৈধ অস্ত্রও তো এমনিতেই নিষিদ্ধ। তাই সেটার উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
এদিকে, আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ১০টি উপজেলায় সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ছয় দিনব্যাপী সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখাবে সংস্থাটি।
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে- আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও মেহেরপুর সদর এবং ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় চতুর্থ ধাপের ভোটে কক্সবাজার সদর, পটুয়াখালী সদর, ময়মনসিংহ সদর, বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর ও ফেনী সদরে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও জনসাধারণকে নতুন এই ভোটিং ব্যবস্থা প্রদর্শন/ভোটার এডুকেশন বা জনসচেতনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম কাস্টমাইজেশনসহ নির্বাচন উপযোগী করে যথাসময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একজন এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের একজন করে কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবেন।
তার আগে ভোটারদের মধ্যে সচতেনতা সৃষ্টির জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে নির্দেশনায়। একই সঙ্গে ভোটারদের ভোটদান পদ্ধতি শেখাতে ভোটকেন্দ্রের আওতাধীন সুবিধাজনক স্থানে ১৬ থেকে ২১ মার্চ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষকদের। যাদের দু’দিনের নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন বর্তমানে উন্নতমানের ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ছয়টি আসনের পুরোটাই এসব ইভিএমে ভোটগ্রহণ করেছে। যদিও ফলাফল যত দ্রুততার সঙ্গে প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিল, তত দ্রুত প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তবে মেশিনগুলোতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়েই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা গেছে।