দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। এই বাহিনীকে আরও উন্নত ও আধুনিক করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজ হলে ২০১৮ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী ১৫৮ পুলিশ সদস্যের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।এর আগে, সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজ চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তিরকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হন। এর মধ্যেও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে জনগণের নিরাপত্তায় কাজ করছে।তিনি আরও বলেন, দেশের জন্মলগ্ন হতে স্বাধীনতার চেতনা যে বাহিনীর হৃদয়ে প্রোথিত, সে পুলিশ বাহিনী গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হবে; ভূমিকা রাখবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে যারা মৃত্যুবরণ করছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে পরেও রেশন সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে তাদের প্রতি সম্মান জানান। ২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গ্রেফতারসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও জনগণের জানমাল রক্ষাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় ১৫৮ জন পুলিশ সদস্যের পরিবারবর্গকে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিরা। এছাড়াও নিহত ১৫৮ জন পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।