কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধের দুই ঘটনায় এক রাতেই চারজন নিহত হয়েছেন, যারা মাদক চোরাকারবারি বলে বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য। তারা বলছেন, শুক্রবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের পুরাতন মগপাড়ায় গোলাগুলির এসব ঘটনা ঘটে।টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় ‘দুই দল মাদক চোরাকারবারির’ মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশেই পাওয়া যায় ছয় হাজার ইয়াবা, দুটি বন্দুক ও চারটি গুলি।গুলিবিদ্ধ দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
নিহতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ার জানে আলমের ছেলে নজির আহমদ (৪০) এবং নয়াপাড়ার মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪০)।ওসি প্রদীপ দাশ বলছেন, নিহত দুজন থানার ‘তালিকাভুক্ত মাদক চোরাকারবারি’। তাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
এদিকে সাবরাং ইউনিয়নের পুরাতন মগপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে বিজিবির গুলিতে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে ‘ইয়াবার বড় একটি চালান’ আসার খবরে বিজিবির সদস্যরা ভোর রাতে নাফ নদীর সাবরাং ইউনিয়নের পুরাতন মগপাড়া পয়েন্টে অভিযানে যায়।এ সময় মিয়ানমারের দিক থেকে আসা সন্দেহজনক কয়েকজন ব্যক্তি বিজিবি সদস্যদের দেখতে পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে। বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ।
গুলিবিদ্ধ দুজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা আছাদ।তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক লাখ ইয়াবা, একটি দেশি বন্দুক এবং একটি গুলি পাওয়া গেছে।নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদ-জামান।