ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটির নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের নির্বাচনে ভোটর উপস্থিতির কম হওয়ার দায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরদের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে আইইএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।উত্তরের ভোটার নূরুল হুদা ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এ দায় রাজনৈতিক দলগুলোর এবং প্রার্থীদের।
আমি আগেই বলেছি, দুটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম থাকতে পারে। একটি হচ্ছে স্বল্প সময়ের জন্য এই নির্বাচন, এক বছর পরে আবার নির্বাচন হবে- সেজন্য কম হতে পারে। আর সব রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় ভোটাররা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে না ভাবলে কম হতে পারে।
অধিকাংশ দলের বর্জনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের প্রচারে এবার উত্তাপ ছিল না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় ৮টায় ভোট শুরুর পর অধিকাংশ কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই নির্বাচনী কর্মকর্তা আর এজেন্টদের খোশগল্পে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
সিইসি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন, সেই আইইএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রে যথাক্রমে ২৯২৯টি, ২৪৬৯টি, ৩২৮১টি ভোট রয়েছে। সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে সব মিলিয়ে মোট ৫১টি।
সিইসি বলেন, দিন গড়ালে মানুষ বাড়তে পারে। তবে উপস্থিতি ওই রকম সংখ্যক নাও হতে পারে। আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দিই। রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা প্রার্থীদের ভোটার নিয়ে আসতে হয়। আমরা বলে দিই পরিবেশ সুষ্ঠু আছে, সবকিছু নিরাপদ আছে এবং সবাই ভোট দিতে আসতে পারে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি নেই দাবি করে নূরুল হুদা বলেন, পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, আইন-শৃংখলাবাহিনী নিয়োগ করে দিয়েছি। কোনো ত্রুটি আছে বলে আমরা মনে করছি না।
প্রথম দুই ঘণ্টায় এ কেন্দ্রে এক শতাংশের কম ভোট পড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। ভোটতো ৪টা পর্যন্ত। তার পর বলা যাবে কেমন ভোট পড়ল।