টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা নবীনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় অন্যতম আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে তার সাক্ষ্যগ্রহণের জেরা হয়। এ নিয়ে আদালতে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হলো।

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম ৪ এপ্রিল এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্র জানায়, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে মামলার অন্যতম আসামি রানাকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে আনা হয়। পরে ১১টা ২০ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সাক্ষী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা নবীন আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। পরে বিচারক আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আমানুর রহমান খান রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চআদালত ও নিম্নআদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।