ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের উপ-নির্বাচন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এবং দক্ষিণ সিটির নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশিরভাগ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় নির্বাচনি এলাকায় ভোটের আমেজ দেখা যায়নি।
ভোটকে কেন্দ্র করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পাবলিক পরীক্ষা থাকলে তা সাধারণ ছুটির বাইরে থাকবে।উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তারা আবুল কাসেম জানিয়েছেন, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে আইনানুযায়ী প্রচারণা বন্ধ থাকবে। সে অনুযায়ী প্রার্থীরা মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন। আগামী ২ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোনও মিছিল, সভা, শোভাযাত্রা করা যাবে না।
ইসির যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান আরজু জানান, উত্তর সিটির নির্বাচনি এলাকায় ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ২৪ ঘণ্টা যন্ত্রচালিত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা ও মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক, প্রধান প্রধান সংযোগ সড়কে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টি (জাপা)-র প্রার্থী শাফিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীকে, এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান আম প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এবং পিডিপির শাহীন খান বাঘ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৭২ জন ও দক্ষিণ সিটিতে ২৪ জন নির্বাহী হাকিম নিয়োজিত থাকবেন। বিচারিক হাকিম থাকবেন ২৪ জন।
উত্তরের ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১৬ জন প্রার্থী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৫জন প্রার্থী এবং দক্ষিণের ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৫ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর পাশাপাশি উত্তর সিটির ৯ ও ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ৯ নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন নির্বাচিত হওয়ায় ওইদিন ভোট হবে না। উত্তর সিটি সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮ ভোটকেন্দ্র এক হাজার ২৯৫টি, ভোটকক্ষ ছয় হাজার ৪৮২টি ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩০ জন ও নারী ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯১ জন। উত্তরে নতুন করে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডে ভোটার ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫ ও নারী ২ লাখ ৮২ হাজার ৬৪৯ জন। অন্যদিকে দক্ষিণে ভোটকেন্দ্র ২৩৫, ভোটকক্ষ এক হাজার ২৫২টি ভোটার ৪ লাখ ৯৬হাজার ৭৩৫। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৭ জন ও মহিলা দুই লাখ ৪২ হাজার ২৩৮ জন।