এমপিওভুক্তির জন্য দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য হিসেবে বিচেনা করা হয়েছে। শিগগিরই ধাপে ধাপে এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করা হবে।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। সাড়ে ৯ হাজার আবেদন আসে। এর মধ্যে থেকে দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যে ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলো পূরণ করেছে। কম্পিউটারাইজড প্রক্রিয়ায় এটা করা হয়েছে। এর ভেতর থেকে অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ধাপে ধাপে এমপিওভুক্তি করা হবে।
সবগুলো একসঙ্গে পারবো না। ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করতে পারবো।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সময়োপযোগী ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে ২০১৮ সালের জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়নি। এমনকি প্রশ্নফাঁসের গুজবও ছড়ায়নি। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে। প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বাস্তবতার নিরিখে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।