বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি মোকাবিলা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। তবে শাস্তি দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা কম হয়নি, যথার্থই হয়েছে।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও নেতৃত্বের সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা কম হয়নি, যথার্থই হয়েছে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আড়াই টাকার দুর্নীতিও বড় দুর্নীতি। এদেশে আর দুর্নীতি হতে দেওয়া যায় না। সবকিছু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি অচিরেই কমে যাবে। তবে তার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, যা শেখ হাসিনা সরকারের রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত দুই দশকে বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন সম্ভব :য়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠ্যপুস্তকে দুর্নীতিহীন আদর্শের কথা ও এর ভবিষ্যৎ ফল সম্পর্কে পাঠ যুক্ত করার অনুরোধ জানাবো।
রাজনীতি ও দুর্নীতিকে আলাদা রাখার তাগিদ দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি ও রাজনীতিকে একসঙ্গে মেলাবার সুযোগ নেই। রাজনীতিকে রাজনীতির মতো থাকতে দিয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ, কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায় এবং কৃষি-অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডক্টর জাহাঙ্গীর আলম।