নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার জার্মানি যাচ্ছেন। সেখান থেকে দ্বিপক্ষীয় সফরের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) যাবেন। জার্মানি ও ইউএইতে ছয় দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী বুধবার দেশে ফিরে আসবেন। খবর ইউএনবি
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেশটির চ্যান্সেলার অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসিসহ বেশ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। ইউএইতে তিনি আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স ও আমিরাতের সামরিক বাহিনীর উপপ্রধান শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকবেলা ও রোহিঙ্গা সঙ্কটের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখবেন। এই সম্মেলনে অন্তত ৩৫টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, ৫০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অংশ নেবেন। এ সম্মেলনের সাইডলাইনে কাতারের আমির ও মিশরের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান ক্রুজ, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এমা সোলবার্গ, ইইউর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ফেদরিকা মেঘেরিনি, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। নির্বাচনের পর ক্ষমতায় ফিরে এসে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে এ সম্মেলনকে কাজে লাগানো হবে। মিউনিখ সম্মেলন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতি নিয়ে বিতর্কের জন্য বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ফোরামে পরিণত হয়েছে। বিগত পাঁচ দশক ধরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অপরদিকে দুবাইতে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে বিশ্বের এক হাজার ২০০-এর বেশি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন।