সংগ্রহটা খুব একটা বড় ছিল না খুলনা টাইটানসের, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৮ রান করে। ছোট লক্ষ্য, তাই সহজেই টপকে যাওয়ার কথা রাজশাহী কিংসের। না, এই রানও চেজ করতে পারেনি মেহদেী হাসান মিরাজের দল। খুলনার বোলিং তোপে মাত্র ১০৩ রানেই ইনিংস গুটিয়ে নেয় তারা। রাজশাহী তাই হেরেছে ২৫ রানে।
বিপিএলে খুলনা টাইটানসের এটি প্রথম জয়। আসরে তারা একমাত্র দল যারা এর আগের সবকটি ম্যাচেই হেরেছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই ম্যাচে জয় পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ পর্যন্ত অধরা সাফল্য পেয়েছে তারা।
দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহর চমৎকার বোলিংয়েই এই সাফল্য পায় খুলনা। চার ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে তাইজুল তিন উইকেট তুলে নেন। আর ১২ রান খরচায় মাহমুদউল্লাহ পান দুই উইকেট। পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানও বল হাতে দারুণ সাফল্য পান, তিনি তুলে নেন তিন উইকেট।রাজশাহী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। অধিনায়ক মেহেদী হাসান সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুলনাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ আরিফুল হকের, ২৬ রান।রাজশাহী বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে। বিশেষ করে অধিনায়ক মিরাজ ও আরাফাত সানির চমৎকার বল করেছেন। দুজনেই দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানাও বল হাতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন। তিনিও দুই উইকেট পান। আর এক উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান।এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে তলানিতেই রয়েছে খুলনা। সমান ম্যাচ খেলে রাজশাহী চার পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। চার ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল এই ঢাকা।