চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে যা যা দরকার তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।শি বলেছেন, বাড়তি চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মুখে চীনের সেনাবাহিনীকেই দেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে।সাম্প্রতিক সময়ে চীন তাদের সামরিক বাহিনীর শক্তি ও সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার ওপর আগের তুলনায় অনেক বেশি জোর দিচ্ছে।শুল্ক নিয়ে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সামরিক বাহিনীর প্রতি শি-র এই নির্দেশনা বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপোড়েন আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে শঙ্কা পর্যবেক্ষকদের।
চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান শি সেনাবাহিনীকে নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৌশল পর্যালোচনা এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি ও তা চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিতে বলেছেন।“বিশ্ব আজ এমনই এক বড় পরিবর্তনের মুখোমুখি, গত এক শতাব্দীতেও যা দেখা যায়নি। সমৃদ্ধির জন্য চীন কৌশলগত সুযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্যেই আছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) এ সাধারণ সম্পাদককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সিনহুয়া। শি জরুরি অবস্থায় সেনাবাহিনীর দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর সক্ষমতা অর্জন, যৌথ অভিযানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন ধরনের বাহিনীর বিকাশের ওপরও জোর দিয়েছেন।এর আগে বুধবার চীনের এ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার দেশ তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা রুখতে ও ‘একীভূতকরণের’ লক্ষ্য অর্জনে তাইপের ওপর বলপ্রয়োগের অধিকার রাখে।গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের নিরাপত্তা সুরক্ষা দিতে এশিয়া রিঅ্যাসিউরেন্স ইনিশিয়েভ অ্যাক্টে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার প্রতিক্রিয়াতেই শি ওই কথা বলেন।চীন তাইওয়ানকে তার ভূখন্ডের অংশ হিসেবেই দেখে। অন্যদিতে তাইপের জনগণের একাংশ বেইজিং থেকে স্বাধীন হতে চায়।
স্বাধীনতাপন্থি ওই অংশটি তাইওয়ানের সর্বশেষ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর চীনের সঙ্গে তাদের বিবাদ আরও প্রকাশ্য হয়।এ নিয়ে বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যেও উত্তেজনা চলছে। গতবছর মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো কয়েকবারই তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করেছে। চীন বরাবারই এ ধরনের ‘উসকানির’ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।