আগামী মার্চে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ইসি সবিচালয় এ লক্ষ্যে প্রস্তুতিও শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে। যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা আর এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই আমরা মার্চ মাসটাকে ধার্য করেছি উপজেলা নির্বাচন করার জন্য। মাননীয় কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা সেভাবে এগিয়ে যাবো।কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মার্চে ভোট করতে হলে জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ২০১৪ সালের মতো এবারও ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচন ইসি তাদের সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে অনুষ্ঠান করতে পারেন। এছাড়া, অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের অনুরোধের প্রয়োজন পড়ে। উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার পরিষদ বিভাগ থেকে নির্বাচন উপযোগী হওয়ার তথ্য জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিলে এটি অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেবে ইসি।গতবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হলেও এবার দলীয় ভিত্তিতে নিবন্ধিত দলগুলোর দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। সরকার অন্যান্য স্থানীয় সরকার পরিষদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠানে বেশ আগেই আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনের আলোকে কিছু উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ও নবগঠিত একাধিক উপজেলায় দলীয় ভিত্তিতে ইতোমধ্যে ভোট হয়েছে।সর্বশেষ ২০১৪ সালের ফেব্র“য়ারি থেকে শুরু হয়ে ছয়টি ধাপে দেশের ৪৮৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী পরিষদের মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত।নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে, ওই সব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।