ফেনী-১ (পরশুরাম,ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী) খালেদার আসনের বিএনপি দলীয় ধানের শীষের প্রার্থী রফিকুল আলম মজনুর মঙ্গলবার নির্বাচনী এলাকার ফুলগাজীতে বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রাখেন। মঙ্গলবার সকালে ফুলগাজী ও পরশুরামে এবং এর আগে ছাগলনাইয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।পরে তিনি উপজেলায় বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক গ্রাম শ্রীপুর, ওই এলাকার গোসাইপুর, দৌলতপুর, বরইয়া, গাবতলা, মনতলা, ঘনিয়ামোড়াসহ আশেপাশের এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারণা ও পথসভায় বক্তব্য দেন।
গণসংযোগকালে রফিকুল আলম মজনু বলেন, সরকারী দলের আচরণ দেখে মনে হয় না দেশে এশটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। অনেক স্থানেই পুলিশ সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। তিনি বলেন, এ আসন থেকে চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য দেশের তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রেখেছে সরকার। এলাকার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও হয়রানী করছে। প্রতিনিয়ত খোঁজাখুঁজি করছেন। অনেকেই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেনা। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে গত চারবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত এবারও বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। তিনি দুঃখ করে বলেন, এক মাঘে শীত যায় না। বেগম জিয়া জনগণের রায়ে একদিন মুক্তি পাবেন ইনশাহআল্লাহ। তিনি এলাকার ভোটারদের অনুরোধ করেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে তাকে শুধু ভোট বল্লে ভুল হবেÑ তা হবে এদেশের মানুষের মুক্তি দিবস। এই একটি দিন আমরা যদি ভোট কেন্দ্রে ইস্পাত কঠিনভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি তবে জনতার জয় হবেই’।
এছাড়া ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী রফিকুল আলম ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল, মুহুরীগঞ্জ, নিজকুঞ্জরা, সমিতি বাজার, শান্তিরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য দেন। গণসংযোগকালে তাঁর সাথে ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা বিএনপি মো. শাহজাহান মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী, সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, ছাত্রদল নেতা কামাল উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর আহাম্মদ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, নুরুল আমীন প্রমুখ।