উইন্ডিজকে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্যর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাত্তাই পায়নি সফরকারীরা। ১৯৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬৯ বল হাতে হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেন মাশরাফিরা।
আজ শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মিরাজ-মাশরাফি-সাকিবদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ব্যাট চালাতে পারেননি উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। একমাত্র শাই হোপের অপরাজিত ১০৮ রানের কল্যাণে সর্বসাকুল্যে ১৯৮ রান করতে পারে ব্রায়ান লারার উত্তরসূরীরা।
জবাবে খেলতে নেমে খুবই সচেতনভাবে শুরু করেন তামিম-লিটন। ব্যক্তিগত ২৩ রানে লিটনের আউটে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। লিটনের পর মাঠে এসে সৌম্য খেলতে থাকেন আগ্রাসীভাবে। ৮০ রান করে সৌম্য যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন তখন বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৪ রান। সৌম্যর ক্যারিয়ারে যোগ হয় পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-সৌম্যর জুটি থেকে আসে ১৩১ রান। ৫ চার ও ৫ ছয়ের মাধ্যমে সৌম্য ৮০ রান করে আউট হলে ভাঙ্গে জুটি। কিন্তু উইন্ডিজ বোলাররা পরাস্ত করতে পারেননি তামিমকে। মুশফিক সঙ্গে নিয়ে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৬ রানে। তামিমের ব্যাট থেকে আসে১০৪ বলে ৮১ রান। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৪ তম হাফসেঞ্চুরি।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কম রানে আটকে রাখার সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। তিনি শুরু থেকেই উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন। ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৯ রান খরচ করে তুলে নেন চার উইকেট। এ ছাড়া মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান নেন দুটি করে উইকেট। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ঝুলিতে জমা হয় একটি উইকেট। মূলত বোলাররাই জয়ের ভিত গড়ে দেন।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল পাঁচ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে সিরিজে সমতা আনে। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছিলে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। সিরিজে সমতা থাকায় আজকের ম্যাচটি রুপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। তবে বাংলাদেশ দুর্দান্ত জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।