আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা রিটে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এক আদেশে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তার মনোনয়ন বাতিল করে ইসির সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করতে রুল জারি করেছেন। অন্যদিকে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি ইকবাল কবির জ্যেষ্ঠ বিচারপতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে খালেদা জিয়ার আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই বিভক্ত আদেশের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এখন নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি একটি বেঞ্চ গঠন করে দিবেন। এই বেঞ্চেই বিভক্তি আদেশের বিষয়ে নিষ্পত্তি হবে। এর আগে তিনটি আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। দুদকের মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গত ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ে তার সব মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল ইসিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্তে নাকচ হয়ে যায়। পরে গত রোববার হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। ইসির পক্ষে শুনানি করেন সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।