আজ ২৭ নভেম্বর। ভোলার মানুষ আজও শিউরে ওঠে কোকো লঞ্চ ডুবির ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা স্বরন করে। মর্মান্তিক ওই লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৮২ যাত্রী। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পরেও এসব রুটে চালু হয়নি নিরাপদ নৌযান। এখনও ধারন ক্ষমতার কয়েক গুন যাত্রী নিয়ে এসব রুটে চলছে ত্রুটিপূর্ন নৌযান।

২০০৯ সালের ২৭ নভেম্বর, কোরবানীর ঈদের আগের রাতে ভোলার লালমোহনে তেতুলিয়া নদীতে স্বরণকালের ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে ভারসম্য রাখতে না পেরে প্রায় ২ হাজার যাত্রী নিয়ে তলিয়ে যায় কোকো-৪ লঞ্চটি। ঘটনার পরপর অনেক যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, পরে উঠতে থাকে একের পর এক লাশ। লাশের মিছিলে পরিণত হয় তেতুলিয়ার পাড়। স্বজন হারানোদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে লালমোহনের বাতাস। সলিলসমাধি ঘটে ৮২ যাত্রীর। ওই দিন ঈদ আনন্দের পরিবর্তে গোটা জেলায় নেমে আসে শোকের ছায়া। দুর্ঘটনায় অনেকে বেচে গেলেও হারিয়েছেন, আদরের সন্তান সহ প্রিয়জনকে।

এদিকে, লঞ্চ মালিকদের অসাবধানতায় একের পর এক নৌ-দুর্ঘটনা ঘটলেও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। ভোলা সহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের লঞ্চ গুলোতে এখনও সেই একই চিত্র। ঈদ মৌসুমে ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন যাত্রী বোঝাই করে ঝুকি নিয়ে পারাপার করছেন মুনাফা লোভী লঞ্চ মালিকরা। এদের নিয়ন্ত্রনে কোন ব্যাবস্থা না নিলে কোকো ট্রাজেডির মত আবারও কোন বড় নৌ-দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানালেন। পাশাপাশি আধুনিক ও ত্রুটিমুক্ত লঞ্চ পরিচালনায় মালিকদের উৎসাহিত করার কথাও জানান তিনি।