ভোলার উপকূলীয় এলাকা ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর।এসময় প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রাণ হানি ঘটে এবং অর্ধ শতাধিক জেলের খোজ মেলেনি আজো। সিডরের কঠিন আঘাতে বিধ্বস্ত হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ হওয়াদের পরিবারের সদস্যদের কান্না থামেনি । নিখোঁজরা ফিরে আসার অপেক্ষায় স্বজনরা। এদিকে ভোলার উপকূলে একের পর এক ঝড় ও জলচ্ছাস বয়ে গেলেও প্রয়োজন মতো আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেনি।

দিনটি ছিল ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। সকাল থেকে থেমে থেমে বাতাস ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। বিকাল থেকে বাড়তে থাকে ঝড়ো হাওয়া । রাত ১২টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় সিডরের মহা তান্ডব শুরু হয় । বাতাসের বেগ বেড়ে গিয়ে শুরু হয় জলচ্ছাস। মুহুর্তের মধ্যে ভোলার উপকুলের ঘড় বাড়ী লন্ড-ভন্ড হয়ে যায় । ৪৭ জনের প্রাণ হানি ঘটে শুরু হল আর্তনাদ। নদীতে মাছ শিকার করতে যাওয়া ৪৫ জেলে নিখোজ হয়। এছাড়াও ঝড়ের তান্ডবে হাজারো ঘর বাড়ী বিধ্বস্তসহ কয়েক কোটি টাকার ফসল পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

সিডরে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পরে ও নদীতে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা ঝড়ের কবলে পরে প্রাণ হারায়। ঘূর্ণিঝড় সিডরের তিব্রতায় আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছার পূর্বেই প্রাণ হারিয়েছে অনেকে । হু হু করে ধেয়ে আসা পানির তোরে নৌকা তলিয়ে মারা যায় অনেকে। আবার অনেক জেলে নদীথেকে বাড়ী ফেরার সময় পায়নি। এতে ফিরে আসেনি অনেক জেলে । জেলেদের পল্লীতে কান্না এখনো থামেনি। এখনো প্রিয় স্বজনদের অপেক্ষায় পরিবারের সদস্যরা । এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও ভোলার উপকূলে গড়ে উঠেনি পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র।

এব্যাপারে ভোলার ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো: শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, জেলায় আরো নতুন আশ্রয় কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লা নির্মাণের জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান । তবে কতৃপক্ষের মতে মানুষের নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য ছয়শত আশ্রয়ন থাকলেও আরো দুশতটিরও বেশী প্রয়োজন।