বহুল কাঙ্ক্ষিত কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধীতে ভূষিত করা হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে আয়োজিত ‘শুকরিয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে এই উপাধি দেন গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। শোকরানা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন দেশের শীর্ষ আলেমরা। কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করায় তারা প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা আদায় করেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে ‘শুকরিয়া মাহফিল’ শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে।
নড়াইলের একটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশেরও প্রশংসা করেন। এছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা কামনা করেন এই আলেম। এর আগে মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ও সুলতান যওক নদভীও তাদের বক্তৃতায় কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। শুকরিয়া মাহফিলের বক্তৃতায় আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সরকারি ভাতা দেয়ার আবেদন জানান। এছাড়া এখন পর্যন্ত আলেমদের মধ্যে কেউ স্বাধীনতা পদক পাননি, আল্লামা শফীকে আগামীতে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানান তিনি।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে আল্লামা শফীর নেতৃত্বে শীর্ষ আলেমদের উপস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিষয়ের মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত বিলটি সংসদে পাস হয়। এর মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়।
কওমি আলেমরা মনে করেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি একক চেষ্টায় দেশের পিছিয়ে পড়া বড় একটি জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ জন্য কওমি মাদ্রাসাসংশ্লিষ্টরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আর এর প্রতিদান হিসেবেই তাকে সংবর্ধিত করতে চান আলেমরা। তবে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা নিতে বিব্রত বোধ করায় তার পরামর্শে আলেমরা এর নাম দিয়েছেন ‘শুকরানা মাহফিল’।