ভালো লাগে ছেলেটির লিখতে ,রক্তদান করতে , সারক্ষণ বিড়াল এর সাথে খেলা করতে ,গিটারে টুংটাং আওয়াজ তুলে মনের সকল ব্যথা ভুলতে।ফুটবল খেলা ছিল তার খুবই প্রিয়।ফুটবল বিশ্বকাপে তিনি ব্রাজিল দলকে পছন্দ করতেন। কোনো অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করার ভাষা তার ছিল ,ছিল সাহস ।যখন পুরুষরা মেয়েদের প্রতি অন্যায়মূলক আচরণ করে তখন ছেলেটি সহ্য করতে পারতেন না ।তাঁর ভাষায় ‘একে তো বাসে ময়েদেরে জন্য সংরক্ষতি আসনে বসে থাক,েতার ওপর আবার ওঠতে বললে মজোজ দখোয়।আমি ভবেে কুল পাই না যে এরা কি আসলইে পুরুষ নাকি ভুল করে পুরুষ হয়ে জন্ম নয়িছে!ে
আল্লাহ্ এদরে হদোয়তে দান করুক যনে এরা যর্থাথরূপে মানুষ হয়ে ওঠতে পার.ে.. ’ বলছিলাম ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান রিসাদের কথা ।যিনি গত ২৩ ডিসেম্বর হোস্টেলের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অসুস্থতা বোধ করেন গা ঘামতে থাকে ।হোস্টেলের বড় ভাই- রা মিলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন ।কিন্তু কোনো চিকিৎসক আর তাকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি ।আধঘন্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিঁনি। স্বপ্ন ছিল তাঁর আকাশচুম্বী ।তিন ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় হওয়ায়।কোনো অভাব তাঁর ছিল না।তবু কিসের যেন বিষন্নতা সদা তার মনের মধ্যে ভর করত ।সেটা আর কিছু ছিল না এই ব্যাধিগ্রস্ত সমাজ কে নিয়েই ছিল তাঁর মনে সকল কষ্ট।তিনি এ থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়ে ভাবতেন ।তার সদা একটি প্রশ্ন ছিল ‘আমরা শেষ কবে হেসেছি? আমরা কি আসলেই সুখী?
তাঁর লেখালেখির সূচনা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক সংঘ’ এর মাধ্যমে ।‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক সংঘ’ তাঁর সুপ্ত প্রতিভা,তাঁর বহুল প্রতিক্ষিত স্বপ্নকে পত্রিকার পাতায় ,মানুষের দরবারে এনে দিয়েছিল। ’তিনি শেষবারের মত ইত্তেফাকের পাতায় লিখেছিলেন ‘মিলেমিশে থাকুন,ভালো থাকুন” এই শিরোনামে ।এখানে তিনি আমাদের ভালো থাকার আসল চিত্র তুলে ধরেছিলেন ।আমাদের ভালো থাকার পথ দেখিয়েছিলেন?কিন্তু সে মানুষটি আর আমাদের মাঝে নেই।তবে আমরা কিভাবে ভালো থাকতে পারি তাকে ছাড়া ? কিভাবে ভালো থাকতে পারে বাংলাদেশ ?
লেখক ঃ মুহাম্মদ হাসান মাহমুদ ইলিয়াস
শিক্ষার্থী,দর্শন বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়