বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যাওয়া রওশন আরার শরীরে কোন কিডনিই ছিল না। ময়নাতদন্ত করে এ তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক। মায়ের মৃত্যুর জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলালকে দায়ী করছেন রওশনের ছেলে। হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আগস্টে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলালের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন রওশন আরা। এক পর্যায়ে ৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তিও হন তিনি। যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাঁর অস্ত্রোপচারও করেন ঐ চিকিৎসক। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হয়ে দ্রুত অবনতি হয়েছে। ৩১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলেই মারা যান রওশন আরা।
এমনকি মরদেহ নিতেও রাজি হয়নি তার পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে মরদেহ সংরক্ষণ করে। পরে শাহবাগ থানায় পরিবার অভিযোগ করলে ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকও রওশন আরার দেহে কিডনির অস্তিত্ব পাননি।
শুধু সে কারণেই রওশন আরার মৃত্যু হয়েছে কি না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ঢাকা মেডিকেলের ৩ সদস্যের কমিটি। এ অভিযোগের বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। তবে টেলিফোনে জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক দুলাল নিজের ভুল স্বীকারও করেছিলেন। এক পর্যায়ে সমঝোতাও করতে চেয়েছিলেন ঐ চিকিৎসক।