বৈদেশিক মুদ্রার আগাম বেচাকেনার নীতিমালায় সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা কেনা বা বিক্রি সম্ভব না হলে তার মেয়াদ বাড়ানো যাবে।এ ছাড়া চুক্তিভঙ্গের কারণে লোকসানের পাশাপাশি লাভেরও অংশীদার হবেন গ্রাহক। এতোদিন লোকসান হলে গ্রাহকের কাছ থেকে কেটে নিলেও লাভের অংশ দিতো না ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ বিষয়ে এক সার্কুলার জারি করে সম্প্রতি দেশের অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমদানি ও রফতানিকারকরা ব্যাংক থেকে তিন মাসের আগাম বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে বা বেচতে পারেন।একজন আমদানিকারকের দায় পরিশোধের জন্য ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ ১০ হাজার ডলার প্রয়োজন। এজন্য ব্যাংকের কাছ থেকে এখন ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার কিনে রাখলেন। বিশেষ কারণে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে তিনি ওই ডলার নিলেন না। ফলে ব্যাংক ওই ১০ হাজার ডলার বাজারে বিক্রি করল এবং প্রতি ডলারের দাম পেল ৮৩ টাকা। এতে ব্যাংকের ৫ হাজার টাকা লোকসান হলো। এই লোকসানের টাকা এতদিন গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতো ব্যাংক। কিন্তু প্রতি ডলার ৮৪ টাকা দরে বিক্রি করে ব্যাংকের অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা লাভ হলে গ্রাহক তার অংশ পেত না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে লোকসানের পাশাপাশি লাভের অংশও পাবেন গ্রাহক। একই নিয়ম রফতানির বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে লেনদেন শেষ না হলে ওই চুক্তি বাড়াতে পারবেন গ্রাহক। একই চুক্তি বারবার বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদেও করা যাবে। প্রতি তিন মাস পরপর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের লাভ-লোকসানের ভাগ নিতে হবে গ্রাহককে। তবে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে শেষ তিন মাসের সময় গ্রাহককে অবশ্যই বৈদেশিক মুদ্রা নিতে হবে। গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদি বড় ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।