দ্রুত এগিয়ে চলেছে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ। সেতুর ৮, ১০, ১১, ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৫টি পিলারের নকশা চূড়ান্ত হয়ে আসে বলে প্রকৌশলী সূত্র নিশ্চিত করেছে।বাকি ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের নকশা শিগগিরই আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এর মাধ্যমে সেতুর ১১টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে ২টি পিলারের নকশা বাকি রইলো। বনানী সেতু ভবনে নকশা অনুমোদন শেষে পদ্মায় এটি পৌঁছানো হয়েছে।

মূল সেতুর এক প্রকৌশলী বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে নকশা জটিলতায় মোট ১১টি পিলারের মধ্যে ৪টি পিলারের নকশা চূড়ান্ত হয়। সম্প্রতি ৫টি পিলারের নকশা চূড়ান্ত হলো। এখন বাকি শুধু ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের নকশা। ২৯, ৩০, ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারে যেসব সমাধান এসেছিল তাই হয়েছে ৮, ১০, ১১, ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চূড়ান্ত নকশা এসেছে। বর্তমানে ২৫, ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের কাজ চলছে।প্রকৌশলী সূত্রে আরও জানা যায়, জাজিরা প্রান্তে রেলওয়ে বক্স স্লাব স্প্যানের ওপর বসানোর কাজ চলছে। মাটির গঠনগত বৈচিত্র ও গভীরতার তারতম্যের কারণে পদ্মাসেতুর মাঝনদী ও মাওয়া প্রান্তের এসব পিলার নিয়ে বেশ জটিলতায় পড়ে এ প্রকল্প।

উল্লেখ্য, সেতুর ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পাঁচটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে পৌনে এক কিলোমিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এর প্রায় ৪ মাস পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর মাত্র দেড় মাস পর ১১ মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এর ২ মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। আর পঞ্চম স্প্যানটি বসে এক মাস ১৬ দিনের মাথায়।৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখি সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।