আমদানি পর্যায়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করায় নয়টি ব্যাংককে জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে।ব্যাংক নয়টি হচ্ছে, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক (ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক) ও এক্সিম ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমদানিকারকদের থেকে যে দাম নেওয়া হয়েছে, এই ব্যাংকগুলো হিসাব দেখিয়েছে তার চেয়ে কম।এভাবে প্রকৃত দর গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় কেন তাদের জরিমানা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছে।রোববার পাঠানো নোটিসের জবাব দিতে হবে আগামী তিন দিনের মধ্যে। কোনো ব্যাংক উপযুক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যাংককে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আন্তঃব্যাংক দরের চেয়ে এক টাকারও বেশি দরে ডলার বিক্রি করেছে এই ব্যাংকগুলো।বাজারে ডলারের বাড়তি চাহিদা থাকায় এই অসৎ কাজটি করেছে নয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে যে দামে ডলার বিক্রি করেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দেখিয়েছে তার তুলনায় কম।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সায় ডলার বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া আছে। এই নয়টি ব্যাংক সে নির্দেশনা না মেনে আমদানি পর্যায়ে ৮৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা পর্যন্ত দরে ডলার বিক্রি করেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল তদন্ত করে সুষ্পষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরই এ সব ব্যাংককে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে বলে সিরাজুল ইসলাম জানান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানি ও রেমিটেন্সের চেয়ে আমদানি বাড়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি এই চাহিদাকে কেন্দ্র করে এসব ব্যাংক অতি মুনাফার লোভে এমনটি করেছে। অনেক ব্যাংক নিজের সক্ষমতার বাইরে গিয়ে এলসি খুলেছে।গত বছরের নভেম্বরে একই অভিযোগে ২০টি ব্যাংককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সুষ্পষ্ট জবাব না দেওয়ায় কয়েকটি ব্যাংককে জরিমানাও করা হয়েছিল।