তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের সময়কার এক গুরুত্বপূর্ণ অডিও শুনেছেন দেশটিতে সফররত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জিনা হ্যাসপেল। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এক বিবৃতি পেশ করবেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে খাশোগি হত্যার প্রায় তিন সপ্তাহ পর গত সোমবার তুরস্কে যান হাসপেল। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তুরস্কের কাছে সংগৃহীত প্রমাণাদি তাদের সঙ্গে বিনিময় করতে তুর্কি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
তুর্কি তদন্তকারীরা সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খাশোগির হাতে সর্বাধুনিক ‘অ্যাপেল ওয়াচ’ ছিল। আর এ ওয়াচের মাধ্যমে সৌদি কনস্যুলেটে তাকে নির্যাতন ও হত্যার মুহূর্তের অডিও রেকর্ড তার ফোন এবং আইক্লাউডে পৌঁছে গিয়েছিল। এই ফোন ও আইক্লাউড তিনি কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষমাণ তার বাগদত্তার কাছে রেখে গিয়েছিলেন। এসব রেকর্ড তার বাগদত্তার হাত থেকে তুর্কি তদন্তকারীদের কাছে পৌঁছায়। খাশোগির অন্তিম মুহূর্তের ওই অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে বলা হয়, মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তুর্কি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, হ্যাসপেল ওই অডিওটি শুনেছেন। এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে তদন্তের আলামত দেখার আনুষ্ঠানিক আলামত দিয়েছে।
সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ও ব্রুকলিন ইনস্টিটিউশনের বিশেষজ্ঞ ব্রুস রিডেল বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি ওয়াশিংটনের অনুকূলে চলে আসল। এখন মিডিয়া থেকে আরও চাপ সৃষ্টি হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। শুরু থেকেই তুরস্ক দাবি করে আসছে,সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই খাশোগিকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি প্রথমে তোয়াক্কা না দিলেও শেষ পর্যন্ত ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে প্রথমবারের মতো খাশোগি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে সালমান প্রশাসন। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দেশটি।