সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্য ফ্রন্টের গোড়াতেই গলদ। তারা ঐক্যের শুরুটাই করেছে বিদেশীদের নিয়ে। জনগণের কাছে না গিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গেছে বিদেশীদের কাছে। ঐক্যফ্রন্ট বিদেশীদের আস্থায় আনতে চায়। জনগণের আস্থায় তাদের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। যদি জনগণের প্রতি তাদের আস্থা থাকত তাহলে ঐক্যফ্রন্ট গঠণের পর তারা জনগণের কাছে যেত। ঐক্যফ্রন্ট গঠণের পর তারা প্রথম সাক্ষাৎ করেছে বিদেশীদের সঙ্গে, তারা জনগণের কোন সমাবেশে যায়নি। এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয় এরা কতোটা দেউলিয়া, এরা কতোটা জনসমর্থনহীন। এরা ভাল করেই জানে ১০বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে বারে বারে ব্যর্থ হয়েছে।
মন্ত্রী বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের এক বক্তব্যের মন্তব্যে বলেন, মওদুদ আহমেদের গলার জোর ও চাপবাজি ছাড়া আর কিছু নেই। তারা আন্দেলন কি জনগণ ছাড়া করবে? তিনি রাস্তায় জনগণকে ডাক দিক, দেখুক জনগণ তাকে সাড়া দেয় কি-না।
শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারব্রীজের কাজ পরিদর্শণে গিয়ে মন্ত্রী ওইসব কথা বলেছেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, দেশের মানুষ কেউ এখন আন্দোলনের দিকে তাকিয়ে নেই। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। তারা ইলেকশন মুডে আছে। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিবে সেই আশা করে জনগণ নির্বাচমুখী হয়ে পড়েছে। নির্বাচনমুখী জনগণকে ১৫-২০দিনে আন্দোলনমুখী করা কিছুতেই সম্ভব নয়। যারা এ ধরণের অপপ্রয়াস করছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
সিলেটে ঐক্য ফ্রন্টের জনসমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সহরাওয়ার্দী উদ্যানতো তাদের জন্য উন্মূক্ত করে দেয়া হয়েছে। নরসিংদী ও চট্টগ্রামের জঙ্গী আস্তানার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এত বড় বড় নেতা ও জাতীয় নেতারা সিলেট যাবে তাদের নিরাপত্তাতো দেখতে হবে। সিলেটের সমাবেশ বন্ধ করা হয়নি আপাততঃ স্থগিত করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, চন্দ্রা ফ্লাইওভার ব্রীজের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৯০শতাংশ শেষ হয়েছে। মূল ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই ব্রীজের পুরো কাজ শেষ হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এসময় সাসেক প্রকল্প পরিচালক মো. ইছহাক আলী, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও জনপথের ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।