রাজশাহীর বাগমারায় অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামকে তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম এলাকার বনপাড়া-সিরাজগঞ্জ বাইপাস সড়কের একটি বিল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ওসি নাসিম আহমেদ। অপহরণের শিকার আব্দুস সালামের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে বনপাড়া-সিরাজগঞ্জ বাইপাস সড়কের বিলের মধ্যে একটি তেলের পাম্প থেকে তাকে উদ্ধার করে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার আব্দুস সালাম জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে তাকে হাত ও চোখবাঁধা অবস্থায় একটি মাইক্রোবাস থেকে তাকে বিলের মধ্যে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়। পরে মুখোশপরা অপহরণকারীদের একজন তার হাত ও চোখের বাঁধন খুলে দেয়। অপহরণকারীরা তার মোবাইল ফোনটিও ফেরত দেয়।
তিনি বলেন, আমাকে নামিয়ে দেয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ গজ দূরে অপহরণকারীদের মাইক্রোবাসটি দাঁড়িয়েছিল। কিছুক্ষণ পর একজন আমার নাম ধরে ডাক দেয়। এতে ভয় পেয়ে বিলের মধ্যে দৌড়ে নেমে যাই। বিলের হাঁটুপানিতে ধানের মধ্যে গিয়ে লুকিয়ে পড়ি। এ সময় অপহরণকারীরা বিলের মধ্যে লাইট মেরে খুঁজতে থাকে। তারা বেশ কিছুক্ষণ খুঁজে পরে মাইক্রোবাস নিয়ে চলে যায়। পরে পানি থেকে ওঠে কাছাকাছি একটা পেট্রলপাম্প দেখে সেখানে আশ্রয় নিই। খবর পেয়ে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে বাগমারায় আমার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।
অপহরণের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের বাড়ি উপজেলার চেউখালি গ্রামে। তিনি বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে।
আব্দুস সালাম জানান, রোববার দুপুরে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এ সময় পলাশী গ্রামের মাঠে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি কালো মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তাকে তুলে নেয়। এরপর মাইক্রোবাসটি দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। মাইক্রোবাসে তোলার পরপরই তার হাত ও চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। এর পর তাকে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে তারা। তবে কেন তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, সে ব্যাপারে জানতে চাইলেও অপহরণকারীরা কোনো উত্তর দেয়নি বলে জানান অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা। আব্দুস সালাম অপহরণের পর রোববার রাতে স্ত্রী আফরোজা বেগম বাগমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।