ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। তবে এক কার্যদিবস পরই মঙ্গলবার উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে।এদিন ব্যাংক কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার প্রভাব পড়েছে অন্য খাতেও। ফলে দুই বাজারেই লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এরপরও দুই বাজারেই সবকটি মূল্যসূচকের উত্থান হয়েছে।এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৯৫টি। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির দাম।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্যাংক ও বীমা খাতের প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়লেও মঙ্গলবার এ দুটি খাত ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায়। লেনদেনে অংশ নেয়া ব্যাংক খাতের ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২১টির। আর বীমা খাতের মাত্র ৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে ২৭টির।এদিন ব্যাংক ও বীমা খাতের ন্যায় অন্য খাতেরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। শুধু ব্যাতিক্রম ছিল টেলিকমিউনিকেশন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। টেলিকমিউনিকেশন খাতের খাতের দু’টি প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২টির দাম বেড়েছে, পক্ষান্তরে কমেছে ৬টির।
অপরদিকে শেয়ার বাজারে উত্থান-পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪টির। আর্থিক খাতে ৫টির দাম বেড়েছে এবং কমেছে ১৬টির। আর ওষুধ খাতে ১২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭টির।শেয়ারবাজারের উত্থান-পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা খাতগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম এদিন কমেছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারটির বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা।মূল্যসূচক ও বাজার মূলধন বাড়লেও মঙ্গলবার ডিএসইতে কিছুটা কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮০১ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮০১ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১ লাখ টাকা।টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএলের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকার। ৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।লেনদেনে এরপর রয়েছে- সামিট পাওয়ার, বিবিএস কেবলস্, কনফিডেন্সড সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, অ্যাকটিভ ফাইন, ইফাদ অটোস এবং ড্রাগন সোয়েটার।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির শেয়ারের দাম।