গাজীপুরে টঙ্গীর ছায়াকুঞ্জ হাউজিংয়ের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। প্রায় ১৫শ’ একর সরকারি খাস জমি দখল ও জলাশয় ভরাটের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর সাতাইশের দাড়াইল ঘুসুলিয়া মৌজা এলাকার প্রায় ১৫শ’ একর সরকারি খাস জমি এবং জলাশয় অবৈধভাবে দখল করে এমএ ওয়াহাব এন্ড সন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠাণ। পরে ওই প্রতিষ্ঠাণের ছায়াকুঞ্জ ৫ ও ৬ প্রকল্পের অধীনে সেগুলো ভরাট করা হয়। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. কামরুজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদ রেজার বিরুদ্ধে গত ৫জুলাই গাজীপুর আদালতে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। আদালত সমন জারি করলে মঙ্গলবার জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট আদালত-১ এ হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করে অভিযুক্তরা। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ওই আদালতের বিচারক ইলিয়াস রহমান জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ইতোমধ্যে ছায়াকুঞ্জ আবাসিক প্রকল্পের নামে প্রায় ১৫’শ একর সরকারি খাস জমি ও জলাশয় অবৈধভাবে দখল করে তা ভরাট করেছে। জলাশয় ভরাটের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন বা রাজউক থেকে কোনো অনুমোদন নেয়নি। প্রভাব খাটিয়ে তারা এসব কাজ করে আসছিল। দখল করা এসব জমি জাল-কাগজপত্র তৈরী করে বিক্রি করে ওই দুইজন শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।