আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের কানো প্রয়োজন নেই। নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন সরকার দায়সারা দায়িত্ব পালন করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচন কমিশন। কাজেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে।রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, বিএনপির নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, প্রশাসনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে সরকারের ক্ষমতা ও কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসে। সরকার চাইলেও কোনো সেতুরও উদ্বোধন করতে পারে না। এই যে আমরা পদ্মা সেতু করছি। আগামী অক্টোবরে এর কিছু কাজের উদ্বোধন করতে চাইছি। কিন্তু তফসিল ঘোষণা হলে আমরা আর সেটা করতে পারব না।সেতুমন্ত্রী বলেন,বিএনপিসহ বিরোধী যাঁরাই আজ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলছেন, তাঁরা মূলত এ দাবি করে বাড়তি কিছু আদায় করে নিতে চাইছেন। রাজনীতিতে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে তাঁরা সবাই নির্বাচনে আসবেন।২০১৪ সালের মতো এবারও বিএনপি নির্বাচনে না এলে এ নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কোনো মেজবানির আয়োজন নয় যে আমরা বিএনপিকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসব। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে এ অধিকার ভোগ করবে কি না। তা ছাড়া সামনে তফসিল ঘোষণার মাত্র এক মাস বা তার চেয়ে কিছু বেশি সময় বাকি আছে। এ সময়ে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনের জন্য নতুন কোনো পদ্ধতি বের করা সম্ভব নয়। সংবিধানে যেভাবে নির্বাচনের বর্ণনা দেওয়া আছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে।প্রশাসনে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। এ অবস্থায় প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। সবকিছুই স্বাভাবিক গতিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলছে।