স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর সেনাবাহিনীতে প্রথম নারী মেজর জেনারেল পেল বাংলাদেশ। মেজর জেনারেল পদে ডা. সুসানে গীতিকে রোববার র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সামছুল হক।

এই তথ্য জানিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী মেজর জেনারেল। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারকে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি প্রদানের মাধ্যমে সেই পদক্ষেপের আরও একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হল। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী,স্পিকার, সংসদ উপনেতার দায়িত্বেও নারীরা সমাসীন। এই সরকার আমলেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নারীদের দায়িত্ব পালন শুরু হয়।আইএসপিআর জানায়, সুসানে গীতি ১৯৮৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারী চিকিৎসক হিসেবে ক্যাপ্টেন পদে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথম নারী হিসেবে হেমাটোলজিতে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ডা. সুসান গীতি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এবং বিভিন্ন সামরিক হাসপাতালে প্যাথলজি বিশেষজ্ঞের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের কর্মকর্তা সুসানে গীতির স্বামী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুল্লাহ মো. হোসেন সাদ একজন সফল সামরিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন বলে জানায় আইএসপিআর।