হাতি একটি বন্য প্রাণী। বিশালদেহী এই প্রাণীকে বনেই বেশি সুন্দর লাগে। কেননা সেটাই তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমাদের দেশের এক শ্রেণির মানুষ বর্তমানে এই বিশালদেহী প্রাণীকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করছে। মাহুত নামধারী চাঁদাবাজরা প্রকাশ্য দিবালোকে দোকান, ফুটপাত, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছে এই প্রাণীকে দিয়ে। এমনকি গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা আদায় করতে বাকি রাখে না এরা।
পাঁচ, দশ বা বিশ টাকায় সন্তুষ্ট নয় হাতির মাহুত। দিতে হবে আরও বেশি। হাতি টাকা নিতে গেলেও, মাহুতের ইশারায় টাকা না নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। শুধু জেলায় না, এখন রাজধানীতেও এদের বিস্তার বিশাল। সারাদেশ জুড়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসা চলছে।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে হাতি দিয়ে কৌশলে দুর্ভোগের গ্যারাকলে ফেলা হয় পথচারীদের।বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে পথচারী, যানবাহন ও বিভিন্ন দোকান থেকে হাতি দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে অনেক টাকা। গাড়ির ভেতর শুঁড় ঢুকিয়ে চাঁদা আদায় করে হাতির মাহুত।চাঁদা না দিলে রাস্তা আটকে দাঁড়ায় হাতি। এছাড়া কোন দোকানদার টাকা দিতে না চাইলে হাতির সাহায্য নিয়ে দোকান থেকে কোন জিনিস সরিয়ে ফেলে।
শুধু রাজধানী নয়। রাজধানী ছড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় হাতি নিয়ে এ চাঁদাবাজি চলছে। জনগণের প্রত্যাশা, প্রকাশ্য এ চাঁদাবাজি বন্ধো হোক।
মোঃ সাইদুর রাহমান, মিরপুর প্রতিনিধি ।