ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের একমাত্র সংখ্যালঘু পরিবার রমনি চন্দ্র শিকদার পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে রয়েছেন উচ্ছেদ আতঙ্কে। স্ত্রী অরুনী বালা রাত হলেই পড়শির বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। একমাত্র ছেলে সঞ্জয় সিকদার বরিশালে বিএ পড়ছে। তাও এখন বন্ধের উপক্রম হয়েছে। আর্থিক সঙ্কটে থমকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। রমনির একটি পুকুর দখলের জন্য তাকে একাধিক মামলা দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মনষাতলী গ্রামে রমনির একটি জীর্ণদশার ঘরে বসবাস। আগে ফেরি করে পান বিক্রি করতেন। পুজি সঙ্কটে এখন তাও বন্ধ। বহুদফা রমনির পুকুরের মাছ ধরে নেয়া হয়েছে। একই গ্রামের জাকির হোসেন ও তার সহযোগী মেনাজ শিকদার, আনিচ শিকদার, রহিম গাজী, কালাম মৃধাসহ একটি চক্র এপরিবারকে উচ্ছেদ করে পুকুরসহ রমনির জমিজমা দখল করতে খুন জখমসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। রমনির ভাষায়, রাইতে মোরে দাও লইয়া খুনের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে জাকির হোসেন।শনিবার রাতে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এমনসব হতাশা ব্যক্ত করে নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন রমনি চন্দ্র শিকদার। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোশাররফ হোসেন মৃধা। এসময় জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদারসহ গ্রামের কয়েক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। রমনি জানান, মনষাতলী মৌজায় তার একটি পুকুর মাছ করার জন্য ১৪২৩ সানের চৈত্র মাস পর্যন্ত আট হাজার টাকায় একসনা লিজ নেয় জাকির। এরপর মেয়াদ শেষ হলেও পুকুরটি ছেড়ে দিচ্ছে না। জবরদখলের জন্য তাকে একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। এখন উল্টো পুকুরের মাছ ধরে তাকেই মামলায় আসামি করা হয়। এভাবে কয়েকটি মামলা দেয়া হয়েছে। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের স্লোপের মরা গাছ একজনে কেটে নেয়।এ ঘটনায় রমনিকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। সবশেষ জাকির হোসেন এমনসব অপকর্ম ঠেকাতে রমনিকে অভিযুক্ত করে কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রমনির অভিযোগ ইতোপুর্বে আরও দুইটি সংখালঘু পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে স্ত্রী-সন্তানসহ উচ্ছেদে পায়তারা চালাচ্ছে। তিনি এখন চরম নিরাপত্তাহীন রয়েছেন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সিকদার, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য আসলাম হাওলাদার, সেখানকার যুবলীগ নেতা ইয়াকুব তালুকদার, পড়শি ইউসুফ জানান, রমনির সকল ঘটনা সত্য। কলাপাড়া গলাচিপা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, রমনির সকল নিরাপত্তাসহ যে কোন সমস্যা নিরসনে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত জাকির হোসেন জানান, রমনির কোন পুকুর নেই। ওর শুধু আট কড়া জমি আছে। সকল অভিযোগ মিথ্যা। তিনি জানান রমনির বাড়ি আর আমার বাড়ি এক জায়গায়। হুমকি-ধমকির ঘটনা সব মিথ্যা।