“গার্মেন্টেসের মেয়ে ” 

প্রিয়তম,
তুমি তখন কেবল কলেজের গন্ডিয়ে পেরিয়ে…
একবিকেলে গার্মেন্টস ছুটির পরে কেবল বেরিয়েছি
তুমি আমার পথ অনুসরণ করতে শুরু করলে,

এভাবে অনেকদিন….

মনে পড়ে কি প্রিয়তম!
আমাকে ভালোবাসার কথা বললে আমি প্রত্যাখান করি,
কারণ আমি গার্মেন্টেসের মেয়ে-
বড় কোনো স্বপ্ন দেখতে পারিনা।
আমাদের স্বপ্ন সীমিত গন্ডিতে আবদ্ধ,
অল্পতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।

তবু তুমি পা জড়িয়ে ধরেছিলে,

মনে কি পড়েনা?

মনে কি পড়েনা সে কথা প্রিয়তম!
মাত্র ৬০০০ হাজার টাকা বেতন পেতাম
অসুস্থ মাকে প্রতিমাসে 1500 টাকা পাঠাতাম।
তুমি বিসিএসের কোচিং করতে ,

তোমার পিতা তোমার খরচ দিতে পারতনা।
শুধু ভর্তা কিংবা পানি ডাল আধপেট খেয়ে কাটাতাম আমি।
শরীর ও ভেঙেছে খুব, ত্বকের যত্ন! হাহা..
শুধু ভাবতাম তুমি কিভাবে ভালো থাকবে,নিয়মিত কোচিং করবে,তিনবেলা ভালো খাবে,
একদিন সব সমস্যার সমাধান হবে।

স্বপ্ন পূরণও হলো | কিন্তু আমার না- তোমার।

আমিতো তোমার কাছে এখন গার্মেন্টেসের কালো মেয়ে।

লেখক ঃ মুহাম্মদ হাসান মাহমুদ ইলিয়াস

শিক্ষার্থী,দর্শন বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় .

আবাসিক শিক্ষার্থী ,স্যার এ.এফ.রহমান হল,ঢাবি.