ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডেকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। এই চক্রের কাছে প্রতারিত একজনের কাছে অভিযোগ পেয়ে নওগাঁর পার-নওগাঁ (দক্ষিনপাড়া) এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে তাদেরকে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পার-নওগাঁ দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে শান্তা খাতুন (৩০), নিপা খাতুন (৩২) ও সন্ধ্যা খাতুন (১৯), বগুড়া জেলাধীন আদমদিঘী থানার কেল্লা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে রিয়া খাতুন, সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মন্ডলের ছেলে হারুন মন্ডল (৩৬), আজাহার আলীর ছেলে মো. আরিফ হোসেন (২৫), মো. আফজাল হোসন মোল্লার ছেলে নুর ইসলাম নোবেল (২০) এবং আব্দুস সালামের ছেলে মো. আশিক (১৯)।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার শিউলী ম্যানসনের চতুর্থতলায় ভাড়া থাকাকালীন সময় মঙ্গলপুর গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামকে এমন ফাঁদে ফেলে নগদ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে এবং ৮ লাখ টাকা দাবি করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনার দিন শহরের একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সহকারী পরিচালককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডেকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায়ের কৌশল অবলম্বন করে। কৌশলে তিনি থানায় জানালে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অফিসার্স ইনচার্জ মো. আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এই চক্রটি টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বাড়িতে ডেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে উভয়ে বিবস্ত্র হতেন। তারপর ছেলে সহযোগীদের ফোন করলে তারা এসে দরজা নক করে ভিতরে প্রবেশ করতেন। তাদের বিবস্ত্র অবস্থায় বিভিন্ন আঙ্গিকের ছবি তুলে সেগুলা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করতেন।