গাজীপুরে পথহারা শিশু দুই ভাই-বোন পরিচয় মিলেছে। শিশু দুটিকে উদ্ধারের একদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে স্বজনরা টঙ্গীর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে নিয়ে গেছে। ওই শিশু দুটির নাম সুমাইয়া (৯) ও রাব্বী (৫)। তারা ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার রাজভারিকেল গ্রামের নজরুল ইসলামের সন্তান।

টঙ্গীর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের হাসিনা আক্তার জানান, গত রবিবার ময়মনসিংহ হতে দু’শিশু সন্তান সুমাইয়া ও রাব্বীকে নিয়ে এত আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গাজীপুরে আসেন নজরুলের স্ত্রী পারভীন। তারা দুপুরে গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে বাস থেকে নামেন। এসময় ক্ষুধার্ত দু’সন্তানকে সড়কের এক পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে পারভীন খাবার কেনার জন্য এক দোকানে যান। তিনি খাবার নিয়ে আবার সেখানে ফিরে এসে তাদের না পেয়ে পাগলের মতো খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। দিনভর খোঁজাখুঁজি করে সন্তানদের না পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যান। সন্তান হারা পারভীন বাড়ি ফিরে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী হন। এদিকে রাতে

মাকে না পেয়ে শিশু দু’টি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন সড়ক মোড়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। এসময় বিউটি নামে এক নারী শিশু দুটিকে দেখতে পেয়ে তাদেরকে চান্দনা চৌরাস্তায় পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে জিএমপি’র বাসন থানার পুলিশ পথহারা ওই শিশু দুটিকে তাদের হেফাজতে নেয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে শিশু সুমাইয়া ও রাব্বী তাদের পিতার নাম নজরুল ইসলাম বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে পারেনি। পুলিশ পরদিন সোমবার শিশু দুটিকে টঙ্গীর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠায়। এখবরটি বিভিন্ন পত্রিকায় ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারের পর তাদের বাবা ও চাচারা ওই কেন্দ্রে ছুটে যান। এসময় হারানো সন্তানরা তাদের বাবা ও চাচাদের কাছে পেয়ে আবেগে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে শিশু দু’টিকে বাবা ও চাচাদের কাছে হস্তান্তর করে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।