ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছরের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৫৪টি কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার এই এমসিকিউ পরীক্ষা চলে।

বরাবরের মতই মোবাইল ফোনসহ টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশি করে পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেওয়া হয়। অনিয়ম-জালিয়াতি ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরীক্ষার সময় দায়িত্ব পালন করে। শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের জালিয়াতি ও অনিয়মের খবর ছাড়াই শেষ হয় প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা।উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সকাল সোয়া ১০টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এমবিএ ভবনে দুটি কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে ডিন কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, যে ৫৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে সেখানে অত্যন্ত নজরদারি বজায় রাখা হয়েছে। সে নজরদারি শুধু পরীক্ষার হলে আমাদের সহকর্মীদের নজরদারি নয়, তার বাইরেও আমাদের কঠিন নজরদারি রয়েছে।গতবছর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ একটি জালিয়াত চক্রের বেশি কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর এবার আর তেমন কোনো তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান উপাচার্য।

তিনি বলেন, আমি কয়েকটি হল ঘুরে পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি, প্রশ্নপত্রের মান, পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ নিয়ে তারা সন্তুষ্ট বলে আমাকে জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানীও পরে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।গ ইউনিটের ১ হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে এবার ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৬০ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তির লড়াইয়ে আছেন ২১ জন।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের লাগোয়া কেন্দ্রগুলোর বাইরে এবার লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করা হয়।সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যারয়ের পাঁচটি ইউনিটে ৭ হাজার ১২৮টি আসনের বিপরীতে এবার মোট ২ লাখ ৭২ হাজার ৫১২জন আবেদন করেছে এবার। এই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী থাকছেন ৩৮ জন।২১ সেপ্টেম্বর খ-ইউনিট, ২৮ সেপ্টেম্বর ক-ইউনিট, ১২ অক্টোবর ঘ-ইউনিট, ১৫ সেপ্টেম্বর চ-ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান অংশের এবং ২২ সেপ্টেম্বর চ-ইউনিটের অংকন অংশের ভর্তি পরীক্ষা হবে।ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (admission.eis.du.ac.bd) থেকে জানা যাবে।