যুক্তরাষ্ট্রে ‘তদবির’ করতে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে আওয়ামী লীগ।দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের জন্য এত টাকা কোথা থেকে এসেছে? তিনি বলেছেন, কারও চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না।শুক্রবার ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে বাংলাদেশের সামগ্রিক বিষয় অবহিত করতে বিএনপি ওয়াশিংটনে একটি লবিস্ট ফার্ম ভাড়া করেছে বলে বৃহস্পতিবার খবর প্রকাশ করেছে রাজনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন পলিটিকো।এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন অভিযোগ করতে জাতিসংঘে গেছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু একটি বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে। ওয়াশিংটনে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লবিংয়ের জন্য বিএনপি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। একবার ২০ হাজার ডলার, আবার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি। এটা কি তাঁরা পারেন? এটার কি কোনো প্রয়োজন আছে?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে লবিং করবে আমাদের চাপ দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের গণভিত এবং আমাদের শেকড় দুর্বল নয়। আমাদের শেকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। আমাদের চাপ দিতে পারে বাংলাদেশের জনগণ এবং আমরা অন্য কারও চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কি পাকিস্তান? বাংলাদেশ কি আফগানিস্তান? বাংলাদেশ কি সুদান বা দক্ষিণ সুদান, বাংলাদেশ কি সোমালিয়া, বাংলাদেশ কি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক বা ইরান? বাংলাদেশের সমস্যা আমরা এখানেই সমাধান করব।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন পলিটিকো তিন দিন আগে বিএনপির ‘লবিং ফার্ম’ ভাড়া করার ওই খবর প্রকাশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল সাত্তার নামে বিএনপির একজন’ গত অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্লু স্টার স্ট্র্যাটেজিস’ এবং ‘রাস্কি পার্টনার্স’ এর সঙ্গে চুক্তি করেন, যাতে তারা বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তদবির করে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করে বিষয়টিকে একটা মহলের অপপ্রচার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

পলিটিকোর ওই খবর এবং বিএনপি মহাসচিবের যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে এখন কমপ্লেইন করতে জাতিসংঘে গেছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু একটা বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে। ওয়াশিংটনে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছে লবিংয়ের জন্য।

তিনি বলেন, একবার ২০ হাজার ডলার, আবার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এটা কি তারা পারেন? এর কি কোনো প্রযোজন আছে?তারা লবিস্ট নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে লবিং করবে আমাদের চাপ দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের গণভিত এবং আমাদের শেকড় দুর্বল নয়। আমাদের শেকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে।ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে চাপ দিতে পারে কেবল বাংলাদেশের জনগণ। অন্য কারো চাপে আওয়ামী লীগ নত হবে না।