ভোলার চরফ্যাসনে শ্বশুর কর্তৃক সনিয়া নামের এক পুত্রবধূকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দক্ষিণ মাদ্রাজ গ্রামের সাবের আহম্মেদ দিদারের (শ্বশুর) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সনিয়া অভিযোগ করেন, সাবের আহম্মদ’র ছেলে রাসেল দিদার’র সাথে দুই বছর আগে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার শশুর ও জামাই ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে। তাদের দাবীকৃত যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকী ৪০ হাজার টাকার জন্য প্রায় চাপ প্রযোগ করে।
পাশা পাশি শ্বশুর সাবের দিদার কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। তার প্রস্তাবে রাজি হলে জমি লিখে দিবে এবং যৌতুকের বাকী টাকা দেয়া লাগবে না বলেও লোভ দেখানো হয়। এতেও রাজি না হওয়ায় সাবের দিদার সনিয়ার ব্যবহৃত বাথরুমের পানিতে মরিচেরগুড়া মিশিয়ে রাখতো। অনেক সময় গোয়াল ঘরের মধ্যে নিয়ে বেঁধে রাখতো। বিষয়টি তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। উল্টো তারা ধমক দিতো। সনিয়া বর্তমানে অন্তস্বত্তা। তাকে গর্ভপাত ঘটানোর প্রস্তাব দিলে সে রাজি না হওয়ায়া গত ৭ সেপ্টেম্বর ছনিয়াকে তার স্বামী, শশুর, শাশুড়ি বেপক পিটিয়ে গুরত্বর আহত করেছে। সনিয়া জানান, তার শশুর ও স্বামী মিলে ইতোপূর্বে তার গর্ভের একটি সন্তান নষ্ট করেছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ছনিয়ার শ্বশুর সাবের দিদার বলেন, চরফ্যাসন সহকারি জজ আদালত ও পারিবারিক আদালতে তার ছেলে রাসেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আদালতের মাধ্যমে তার পুত্রবধুকে ঘরে নিবে। এ বিষয়ে রাসেল দিদারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।