জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে কিনা সে বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। আজ বুধবার সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অস্থায়ী আদালতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানানোয় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। এদিন সকালে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে ইচ্ছুক নয় মর্মে কারাকর্তৃপক্ষ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতা করে শুনানি করেন।
নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত নবগঠিত অস্থায়ী আদালতে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। শুনানি শেষে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে আসেননি এ অবস্থায় আদালত তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে কি না। অথবা বিচারকার্য পারিচালনা করতে পারে কিনা। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবী ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। তারপর জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কাল রায় দেওয়া হবে।’
ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান ওই মামলার বিচার পরিচালনা করছেন। একই বিচারক গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা দেন। এর পর থেকে অসুস্থতার কারণে অনেকগুলো ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হননি। তাই তার ‘অসুস্থতা ও নিরাপত্তার’ কথা বিবেচনা করে কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হওয়ার পর তা অব্যাহত রয়েছে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি আছে।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।